Bangladesh-Bank-BB-Daily-Bangladesh-2204211221

BB working to scrap interest rate ceiling

foreign debt

The Bangladesh Bank has taken an initiative to scrap the 9 per cent interest rate ceiling and introduce a market-based interest rate on loans.

“We are working on the development of a market-based reference rate. On top of that, we will be giving a corridor for the lending rates,” said Bangladesh Bank Governor Abdur Rouf Talukder yesterday.

He came up with the remarks on the second day of the Bangladesh Business Summit at the Bangabandhu International Conference Center in the capital.

The Federation of the Bangladesh Chambers of Commerce and Industry organised the three-day event in cooperation with the foreign and commerce ministries and the Bangladesh Investment Development Authority.

Contacted, a BB official explained the governor’s comment, saying that the central bank might initially set a reference rate on loans based on the demand for credit from borrowers.

 

“Non-performing loans (NPLs) are like cancer. If you can’t cure it within the shortest possible time, you will die. And there is no other conclusion,” said Ali Reza Iftekhar, a former chairman of the Association of Bankers

“We will then set a range of a particular corridor of interest rates on the reference rate that will be applicable to borrowers,” he said.

For instance, if the reference rate is set at 9 per cent, the corridor might be in the range of 2 to 3 per cent. This means banks may charge a maximum interest rate of 12 per cent, the BB official said, on condition of anonymity.

“Probably, shortly we will be able to introduce this new initiative,” said the BB governor at a session on long-term finance.

The BB has maintained the ceiling since April 2020. In January, it relaxed the lending rate cap for consumer loans, allowing banks to hike it up to 3 percentage points.

Citing the BB’s efforts aimed at restoring discipline in the foreign exchange market, Talukder said that the central bank was trying to keep the exchange rate stable.

Bangladesh’s foreign exchange market has been under pressure for nearly a year owing to the fast-depletion of the foreign currency reserves amid escalated import bills.

The reserves have slipped to a six-year low of $31.15 billion last week, down 30 per cent from $44.14 billion recorded in March last year. Amid the shortage of the American greenback, the taka has lost its value by about 25 per cent in the past one year.

“We will also eliminate multiple rates of the US dollar. We are close to that. You will see shortly a market-based exchange rate regime.”

Currently, the US dollar trades at different rates for exporters, importers and remitters.

The governor said that the central bank has taken several measures to contain higher inflation, which has stayed at an elevated level for the higher global commodity prices.

Consumer prices climbed to 8.78 per cent in February, breaking a five-month declining trend, official figures showed yesterday.

“Our policy is to reduce the growth of aggregate demand while making supply-side interventions. This means the central bank will finance the supply-side initiatives,” Talukder said.

Speaking at the discussion, Ali Reza Iftekhar, chairman of the Association of Bankers, Bangladesh, a platform for managing directors of banks in Bangladesh, described non-performing loans (NPLs) as cancer.

“If you can’t cure it within the shortest possible time, you will die. And there is no other conclusion. A bank should be very careful about NPLs,” said the managing director of Eastern Bank.

“If you look at the balance sheet of any bank, you will see that it earns a lot of money. But it also loses money because of the defaulted loans.”

Default loans in the banking sector jumped 17 per cent year-on-year to Tk 120,656 crore last year owing to a lack of corporate governance and the ongoing business slowdown.

“If we don’t have good governance at banks, you will face a high level of NPLs. You can’t stop it. The role of the board and the management should be clearly and distinctly divided. The roles are different but the goal should be the same,” Iftekhar said.

The noted banker suggested banks not hide NPLs. “If they hide defaulted loans under the carpet, bad loans can’t be managed.”

According to Iftekhar, good governance, reducing NPLs, and appointment of independent directors are highly important to ensure discipline in the banking sector.

Arif Khan, vice-chairman of Shanta Asset Management Ltd, presented a keynote paper styled “Developing Long-term Finance Markets to Support New Growth Opportunities” at the event.

“Bank deposits are mainly short-term. So, a severe asset-liability mismatch takes place when long-term loans are provided based on those deposits.”

He said higher NPLs have emerged as a concern for the banking sector.

Atiur Rahman, a former BB governor, moderated the session, which was chaired by Shaikh Shamsuddin Ahmed, a commissioner of the Bangladesh Securities and Exchange Commission.

Khalid Qadir, CEO of Brummer Partners, Alamgir Morshed, CEO of Infrastructure Development Company Ltd, Md Mahbub-Ur Rahman, CEO of HSBC Bangladesh, Asif Ibrahim, chairman of the Chittagong Stock Exchange, Yahya Al Harthi, director of Saudi Exim Bank, and D J Pandian, director-general of New Development Bank, also spoke.

Source: The Daily Star

prothomalo-bangla_2023-01_37c7de3d-12e5-4e3f-8924-6dfbba938c17_833ba86d_eb20_4004_a18d_4c75b4fe55b5

খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ হিসেবে যা বললেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর

বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের ওই অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর। ‘দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন’ শীর্ষক এই অধিবেশন সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের আয়োজন করছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আর্থিক খাতে যে সংস্কারের কথা উল্লেখ করেছেন, সরকার এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে অঙ্গীকার করেছে।

অনুষ্ঠানে আব্দুর রউফ তালুকদার আরও বলেন, মূলধন জোগান দিতে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে নিয়মকানুনগুলো আরও পর্যালোচনা করতে হবে। শেয়ারবাজার উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে এসএমই, কৃষি, পরিবেশবান্ধব খাতের জন্য তহবিল জোগান দিচ্ছে।

অধিবেশনে মূল প্রবন্ধে শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান বৈশ্বিক বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ এসেছে। এগুলো হলো লেনদেন ভারসাম্যে ঋণাত্মক অবস্থা, তিন মাসের আমদানি খরচের চেয়ে রিজার্ভ কমে যাওয়ার শঙ্কা, টাকার মান আরও দুর্বল হওয়া ও বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আরিফ খান বলেন, ২০৪০ সাল পর্যন্ত আমাদের যে বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে, তাতে ১০ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি থাকবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ৯৯ শতাংশই ব্যাংক থেকে হয়েছে। স্বল্প মেয়াদি আমানত নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিয়েছে ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের মধ্যে অসামঞ্জস্য তৈরি হয়েছে। সম্পদের মান খারাপ হয়ে পড়েছে। উচ্চ খেলাপি ঋণের কারণে বিকল্প মাধ্যম দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে মূলধন জোগানে বড় মাধ্যম হতে পারে শেয়ারবাজার।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে, যা বাজার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। সরকারি বন্ড বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখন প্রয়োজন শেয়ারবাজারের জন্য কর কাঠামো সংস্কার করা।

ব্রুমার অ্যান্ড পার্টনার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালিদ কাদীর বলেন, বাংলাদেশে অনেক পণ্য উৎপাদন হয়, সস্তা শ্রমিকও রয়েছে। তাই বাংলাদেশ এখনো বিনিয়োগের কেন্দ্র।

এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, দেশে–বিদেশি বিনিয়োগ করলে তার ফিরে যাওয়া সহজ করতে হবে। এর সঙ্গে সুদ হার, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারসহ নানা ঝুঁকি রয়েছে।

ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বলেন, খেলাপি ঋণ হলো ক্যানসারের মতো। এটা স্বল্প সময়ে না কমলে মৃত্যু নিশ্চিত। খেলাপি ঋণের কারণে সবাই টাকা হারাচ্ছে। দেশের ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব রয়েছে। পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনার কার কী দায়িত্ব, তা নির্ধারিত হলেও অনেকে মানছে না। এ জন্য নির্দেশিত ঋণ হচ্ছে, যা পরবর্তী সময়ে খেলাপি হয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শেয়ারবাজারকে আরও গতিশীল করতে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন নিয়ে তা নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি। মূল্যস্ফীতি, বিনিময় হার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এর অনেকগুলোর আমদানি করা সমস্যা। আমরা চেষ্টা করছি এ থেকে বের হয়ে আসার।’

এই সেশনে আরও বক্তব্য দেন সৌদি এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক ইয়াহিয়া আল হার্থী, বহুজাতিক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মহাপরিচালক ডিকে পান্ডায়েন প্রমুখ।

সূত্রঃ প্রথম আলো 

prothomalo-english_import_media_2018_02_13_2d1a49123351d2fc6393600cae202ac9-Sonali-Bank

ভুয়া কাগজপত্রে’ ঋণ দেয় সোনালী ব্যাংক!

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় করপোরেট শাখা

নজরুল ইসলাম:ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের জন্য আবেদন করে দুটি প্রতিষ্ঠান। স্বল্প সময়ে ঋণও পেয়ে যায় তারা। তবে ব্যাংকের কর্মকর্তারা দলিলপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ সঠিকভাবে সম্পাদন ও সংরক্ষণ করেননি। পাশাপাশি ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে গ্রাহক নির্বাচন, মঞ্জুরি ও বিতরণ করা ঋণগুলো তদারকি এবং ব্যাংকের পাওনা আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে যথাসময়ে ঋণের টাকা আদায় না করায় খেলাপিও হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোনালী ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় করপোরেট শাখায়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ ঘটনায় দুটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া মামলা দুটি দায়ের করেছেন, যা তদন্ত করছেন উপপরিচালক রাউফুল ইসলাম।

দুটি মামলায়ই শাখাপ্রধান ড. মো. হাফিজুর রহমানকে এক নম্বর আসামি ও শাখা কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কর্মকর্তা আমির উদ্দিন ও লিমা ট্রেডিংয়ের মালিক লিমা রহমান এবং ইউনিভার্সেল টেকনোলজিক্যাল সার্ভিসেস লিমিটেডের মালিক কেএম রেজাউল হোসাইনকে একটি করে মামলায় আসামি করা হয়।

দুদকের এজাহারে অভিযোগ করা হয়, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগুজে প্রতিষ্ঠান লিমা ট্রেডিংয়ের নামে রেকর্ডপত্র তৈরি করে ১৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়। ঋণগ্রহীতা লিমা রহমানের নাম জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী লিমা আক্তার। বন্ধকি সম্পত্তি শনাক্ত ও চিহ্নিত করা ছাড়াই ঋণ বিতরণ করা হয়। ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর তারিখে সুদসহ পাওনা দাঁড়ায় ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৩ টাকা।

২০১১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় করপোরেট শাখায় চলতি হিসাব খোলেন লিমা ট্রেডিংয়ের মালিক লিমা রহমান। প্রতিষ্ঠানটি গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ সরবরাহের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ২০১১ সালের ১০ নভেম্বর লিমা রহমান ১৫ লাখ টাকার ঋণের আবেদন করেন। প্রস্তাবিত জামানতি সম্পত্তির মূল্যায়ন করে ১৬ নভেম্বর ১৫ লাখ টাকার ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়, যার মেয়াদ ধরা হয় ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর। লিমা রহমানের স্বামীর নামে থাকা জামানতি সম্পত্তির মূল্যায়ন ও মর্টগেজ দলিল সম্পাদন করেন সোনালী ব্যাংক শাখা কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ও শাখা প্রধান ড. মো. হাফিজুর রহমান। ঋণ মঞ্জুরি ক্ষমতা শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের আর্থিক ক্ষমতার আওতাভুক্ত হওয়ায় প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নেয়া হয়নি।

অনুসন্ধানে দুদক মেসার্স লিমা ট্রেডিং নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। মিরপুর মডেল থানাও জানিয়েছে, ওই ঠিকানায় কখনোই ওই প্রতিষ্ঠান ছিল না। বাড়িমালিক নুরুজ্জামানও একই কথা জানান। তফসিলের সম্পত্তির ক্রয় দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঋণগ্রহীতা লিমা রহমানের স্বামী মুজিবুর রহমান ও তার ভাই হাবিবুর রহমান মোট ২০ শতাংশ জমির মালিক। তার মধ্যে মুজিবুর রহমান ১৩ শতাংশের মালিক। জমাভাগ নথি অনুযায়ী ২০.১ শতাংশ জমি দুই ভাইয়ের নামে রেকর্ড হয়। ঋণ গ্রহণকালে মুজিবুর রহমানের ১৩ শতাংশ জমি ব্যাংকের কাছে বন্ধক দেয়া হয়। বন্ধকি দলিলে জমির চৌহদ্দি যথাযথভাবে উল্লেখ না থাকায় জমিটি নিলামে বিক্রি করে ঋণের অর্থ সমন্বয় করা যায়নি। লিমা রহমান ভুয়া ঠিকানা দেখিয়ে ঋণের জন্য আবেদন করে অন্যের মালিকানাধীন জমি মর্টগেজ দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

শাখার ঋণ ও অগ্রিমের দায়িত্বে নিয়োজিত শাখা অফিসার শাহাদাত হোসেন দলিলপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ সঠিকভাবে সম্পাদন এবং সংরক্ষণ করেননি। পাশাপাশি ড. মো. হাফিজুর রহমান শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে গ্রাহক নির্বাচন, মঞ্জুরি ও বিতরণ, দলিলাদি সম্পাদন, ঋণগুলো তদারকি বা নজরদারি এবং পরে ব্যাংকের পাওনা আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ ও শ্রেণিকৃত হয়ে আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এতে ব্যাংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ব্যাংক গঠিত পরিদর্শন ও নিরীক্ষা দলও সরেজমিনে

পরিদর্শনকালে ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের অনুকূলে দায়বদ্ধ বন্ধকি সম্পত্তি খুঁজে পায়নি। প্রক্রিয়াটির সঙ্গে জড়িত ড. মো. হাফিজুর রহমান, শাহাদাত হোসেন ও ঋণগ্রহীতা লিমা রহমানকে আসামি করা হয়, যার মামলা নম্বর ১৫। তারা দণ্ডবিধির ৪০৯/ ৪২০/ ৪৬৭/ ৪৬৮/ ৪৭১/ ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছন।

দুদকের এজাহারে অভিযোগ করা হয়, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগুজে প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল টেকনোলজিক্যাল সার্ভিসেস লিমিটেডের নামে রেকর্ডপত্র তৈরি করে সিসি খাতে ১০ লাখ ও এসএমই খাতে পাঁচ লাখসহ মোট ১৫ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ঋণগ্রহীতার নাম কেএম রেজাউল হোসাইন। বন্ধকি সম্পত্তি শনাক্ত ও চিহ্নিত করা ছাড়াই ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর তারিখে সুদসহ পাওনা দাঁড়ায় ৪৪ লাখ ৮৬ হাজার ৫০৯ টাকা। ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় করপোরেট শাখায় চলতি হিসাব খোলেন ইউনিভার্সেল টেকনোলজিক্যাল সার্ভিসেস লিমিটেডের মালিক কেএম রেজাউল হোসাইন। তার হিসাবটিতে শনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেন সহকারী ব্যবস্থাপক আমীর উদ্দিন। ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর রেজাউল ২০ লাখ টাকার সিসি (হাইপো) ঋণের জন্য আবেদন করেন। ৩১ অক্টোবর ১০ লাখ টাকার সিসি ঋণ মঞ্জুর করা হয়, যার মেয়াদ ছিল ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারির এক তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, কেএম রেজাউল হোসাইন অন্যের মালিকানাধীন জমি মর্টগেজ দেখিয়ে শাখা কর্মকর্তাদের সহায়তায় ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। শাখা ব্যবস্থাপক ড. মো. হাফিজুর রহমান ও  শাখা কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বন্ধকি সম্পত্তির অস্তিত্ব যাচাই না করে নিজ ক্ষমতার মধ্যে ১০ লাখ টাকার সিসি ও পাঁচ লাখ টাকার এসএমই লোন দিয়ে একে অন্যের সহায়তায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯/ ৪২০/ ৪৬৭/ ৪৬৮/ ৪৭১/ ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনায় জড়িত ড. মো. হাফিজুর রহমান, শাহাদাত হোসেন, ঋণগ্রহীতা কেএম রেজাউল হোসাইন ও আমির উদ্দিনকে আসামি করা হয় (মামলা নম্বর ১৪)।

অভিযোগ প্রসঙ্গে হাফিজুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আমি আদালত থেকে জামিন নিয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা বন্ধকি সম্পত্তি শনাক্ত করতে পারেননি। বাংলাদেশ ব্যাংক অভিযোগ থেকে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে। ভুয়া অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক মামলা করেছে। দুদক সেকেন্ডম্যান, থার্ডম্যান ও ফোর্থম্যানকে ধরেইনি। মামলায় এজিএম হেলাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শাহরিন সুলতানা মালা ও আমিনুল ইসলামের নামই নেই। ক্রেডিট কমিটি ঋণ অনুমোদন দিয়েছে, তাদের নামও এলো না। শাহাদাত হোসেন এক নম্বর আসামি হওয়ার কথা। তাকে করা হয়েছে দুই নম্বর আসামি। আমির উদ্দিন অ্যাকাউন্ট না খুললে তো আমরা লেনদেনও করতে পারতাম না। লিমা ট্রেডিং দুদকের ভয়ে সব টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিস শাখা থেকে নেয়া ঋণ ১০০ বছরেও তারা আদায় করতে পারেনি। সেটা কেউ লেখে না। সোনালী ব্যাংক কিছুই করতে পারেনি। ১৮ হাজার কোটি টাকা মাফ করে দিয়েছে।’

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম শেয়ার বিজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। আর্থিক জালিয়াতি হলে তো দুদকে মামলা হয়ই। আমাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আসামিদের কেউ তো অবসরে চলে গেছেনÑতখন তিনি বলেন, ‘তাহলে অবসরোত্তর সুবিধা পাবে না। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মানিসোর্সসহ অন্যান্য মামলা করার সুযোগ আছে। ব্যাংক সেটি করবেও। আমি খোঁজ নিচ্ছি।’

সূত্রঃ শেয়ার বিজ 

Bangladesh-Bank-BB-Daily-Bangladesh-2204211221

Federal Reserve Bank representatives meet BB governor

A meeting was held between a team of the Federal Reserve Bank of the United States and the Bangladesh Bank Governor Abdur Rouf Talukder.

Following the meeting, Bangladesh Bank spokesperson Mezbaul Haque told media that this was a routine meeting which was attended by representatives from the Federal Reserve Bank’s various departments including risk management department, back office, cyber security unit, relationship management department, and Asia Pacific desk of the bank.

The topics of discussion of the meeting include enquiries about any difficulty faced in transaction with the Federal Reserve Bank, how can their service be improved, enquiries about the governor’s action plan for G20 and other global events.

Source: TBS News
Bangladesh-Bank-BB-Daily-Bangladesh-2204211221

Bangladesh Bank to release new Taka 1000 notes from Thursday

Bangladesh Bank (BB) is going to issue new banknotes of Taka 1,000 denomination signed by its governor, Abdur Rouf Talukder, from Thursday.

It will initially be issued from the Motijheel office of the central bank and later from other branches as well, reports BSS citing a press release.

The colour, size, watermark, design, and other security features of the new notes will be identical to those of the notes currently in circulation, it said.

Alongside the newly printed notes, the existing notes will continue to be valid notes at the same time, it added.

Source: The Financial Express