GP

গ্রামীণফোনের অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড ঘোষণা

গ্রামীণফোনের অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম খাতের বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড ১৬০ শতাংশ অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮ টাকা ৮৪ পয়সা।

অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে বা ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন’২৪) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১৬ টাকা ২৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৬২ পয়সা।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা। যা আগে বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৫৪ পয়সা।

মামুন/

সূত্রঃ শেয়ারনিউজ

Insurance1

শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংক পেল ব্যাংকাস্যুরেন্স চালুর অনুমতি

শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংক পেল ব্যাংকাস্যুরেন্স চালুর অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ ব্যাংককে ব্যাংকাস্যুরেন্স চালুর অনুমতি দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

ব্যাংকগুলো হলো-সিটি ব্যাংক, ডাচ্–বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক (ইবিএল) ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি)।

ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করতে সিটি ব্যাংক গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্পোরেট এজেন্ট হিসেবে চুক্তি করেছে।ইস্টার্ণ ব্যাংক মেটলাইফ ও গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে কর্পোরেট এজেন্ট হিসেবে চুক্তি করেছে।

ব্র্যাক ব্যাংক মেটলাইফ ও গ্রিন ডেল্টা, ডাচ বাংলা ব্যাংক গার্ডিয়ান ও প্রগতি লাইফের সঙ্গে, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক গার্ডিয়ান লাইফ, প্রগতি লাইফ ও গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রাইম ব্যাংক ন্যাশনাল লাইফের সঙ্গে কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নীতিমালা অনুসরণ করে চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো ব্যাংক বীমাসেবা বিক্রির কার্যক্রম শুরু করতে পারলেও কেউ কেউ এখনো পারেনি।

সরকার প্রায় ১০ বছর ধরে সেবাটি চালুর চেষ্টা করে আসছিল। সব ধরনের আইনি ধাপ পার করে অবশেষে গত ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবার উদ্বোধন করেন।

ব্যাংকাস্যুরেন্সে বীমা পণ্য বিক্রির বিপরীতে ব্যাংক নির্ধারিত হারে বীমা কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন পাবে। সেবাটি তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাংকাস্যুরেন্স নামে আলাদা শাখা খোলা হয়েছে। আইডিআরএ নিজেও বীমাসংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য আলাদা ইউনিট চালু করেছে।

বীমা কোম্পানিগুলো কমিশন ভাগাভাগি করে ব্যাংকের মাধ্যমে নিজেদের পণ্যের প্রসার ঘটাতে পারবে। এতে উভয় পক্ষেরই লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে।

করপোরেট এজেন্ট হিসেবে বিমাপণ্য ও সেবা বিক্রি করতে চাইলে কোনো ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। অনুমোদন পাওয়ার পর ব্যাংককে স্বতন্ত্র ব্যাংকাস্যুরেন্স ইউনিট বা উইং প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংক কোনো গ্রাহককে বিমাপণ্য গ্রহণে বাধ্য করতে পারবে না, কোনো গ্রাহককে বিমাপণ্য ক্রয়ে উৎসাহিত করার জন্য বিমা কোম্পানি ঘোষিত মূল্য ছাড়া অন্য কোনো প্রণোদনাও দিতে পারবে না। ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করতে আগ্রহী ব্যাংককে পরপর তিন বছর মুনাফা অর্জন করতে হবে।

একটি ব্যাংক একই সঙ্গে সর্বোচ্চ তিনটি জীবনবিমা ও তিনটি সাধারণ বিমার পণ্য-সেবা বিক্রি করতে পারবে। যেসব ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের কম, তারাই শুধু এ সেবায় যুক্ত হতে পারবে। সে ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মূলধনের বিপরীতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের (সিআরএআর) অনুপাত হতে হবে সাড়ে ১২ শতাংশ।

ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া ক্রেডিট রেটিং বা ঋণমানে গ্রেড-২-এর নিচে থাকা ব্যাংক বিমা ব্যবসায়ে যুক্ত হতে পারবে না। আগ্রহী ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিংও ন্যূনতম ২ থাকতে হবে। খেলাপি ঋণের বিষয়ে বলা হয়েছে, নিট খেলাপি ঋণের হার ৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।

মিজান/

সূত্রঃ শেয়ার নিউজ

salman-rahman

চলতি বছর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি : সালমান এফ রহমান

চলতি বছর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি : সালমান এফ রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বছর খারাপ অবস্থায় থাকলেও চলতি বছর দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

আজ রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) আমেরিকা ডেস্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, গত বছর খারাপ অবস্থায় থাকলেও চলতি বছর দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, এক সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছে। অথচ এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি।

দেশের ক্রমবর্ধমান আইসিটি খাত সম্পর্কে সালমান এফ রহমান বলেন, দুইটি সাবমেরিন ক্যাবলের পর- তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলও যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এছাড়া আইসিটি খাতের উন্নয়নে প্রণোদনাসহ করছাড়ের বিশেষ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারকরণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা জোরদার করতে বেসিস আমেরিকা ডেস্ক গঠন করেছে বেসিস।

সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশি সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য এবং পরিষেবাগুলোর জন্য সব থেকে বড় রফতানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যা মোট রফতানি আয়ের প্রায় ২৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে বেসিস-আমেরিকা ডেস্ক দুই দেশের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা, বেসিসের সাবেক সভাপতিরা, বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও বেসিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মামুন/

 

সূত্রঃ শেয়ার নিউজ

PM-china

শেয়ারবাজারে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগসহ চীনের সঙ্গে ১৬ চুক্তি

শেয়ারবাজারে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগসহ চীনের সঙ্গে ১৬ চুক্তি

বিশেষ প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময়ে তাঁর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ১০টি কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে চীনের বিভিন্ন কোম্পানির ১৬টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগর: সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক এই সামিট শুরু হয়েছে। সামিটে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চীনের বিজনেস সামিটে মোট ১৬টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে বেসরকারি পর্যায়ে। চীন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে এসব সমঝোতা ও চুক্তি দুই দেশের মধ্যেকার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যে ১৬টি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে সামিটে

নগদ ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল আর্থিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হবে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়াগের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে ডিইএক্স বাংলাদেশ টেক লিমিটেডও ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মধ্যে।

বাংলাদেশ চাইনিজ আর্থিক ও শিল্প এলাকায় বিনিয়োগ অবকাঠামোবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) ও নিংবো সিক্সিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে।

মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩৩ একর জায়গাজুড়ে বৃহত্তম পিএসএফ ও পেট বোতল উৎপাদন কারখানা টেক্সটাইল গ্রেড কারখানা স্থাপনের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য সমঝোতা হয়েছে দেশবন্ধু গ্রুপ কেমটেক্স ও চায়না কেমিকেল সিএনসিইসি’র মধ্যে।

দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের জন্য একটি সমেঝোতা স্মারক সই হয়েছে বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন লিমিটেডে ও সিএইচটিসি (হেংইয়াং) ইন্টেলিজেন্ট ইভি কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে।

অন্যদিকে সিলেটে সোলার পার্ক স্থাপনের জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশনের সঙ্গে নিংবো সান ইস্ট সোলার কো. লিমিটেডের মধ্যে।

বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর মধ্যে হেশেং (হোশাইস) সিলিকন ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং ঝোংকে গুয়োরুই (ঝুহাই) নিউ ম্যাটেরিয়াল টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে ওয়েস্ট লুব্রিক্যান্ট অয়েল রিকভারি অ্যান্ড রিফাইনিং বিষয়ে।

দুটি সমঝোতা চুক্তি করেছে ইবি সলিউশন লিমিটেড। তারা হংজি ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ঢাকা শহরের জন্য মোবাইক প্রকল্প নিয়ে। আর নিংবো শেরিং নিউ এনার্জি টেকনোলজি লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে স্মার্ট কোল্ড চেইন লজিস্টিক সলিউশন নিয়ে।

এ ছাড়া স্থল ও জল পথে সিএনজি পরিবহণে কারিগরি ও আর্থিক বিনিয়োগ খাতে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি এবং শিঝুয়াং এনরিক গ্যাস ইকুইপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (সিআইএসমসি এনরিক) মধ্যে।

এককভাবে সর্বোচ্চ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ নিটল নিলয় গ্রুপ। জিবো জিনহুয়াটেং পেপার মেশিনারি কো. লিমিটেড, চায়নার সঙ্গে পেপার মেশিনারি খাতে বিনিয়োগ; ঝেংঝো ডংফেং মিড-সাউথ এন্টারপ্রাইজ কো. লিমিটেড, চায়নার সঙ্গে টিবিআর টায়ার প্রকল্পে বিনিয়োগ; এবং শ্যাংডং সুনাইট মেশিনারি কো. লিমিটেড, চায়নার সঙ্গে অ্যারিয়েটেড অটোক্লেভ কংক্রিট (এএসি) ব্লক খাতে বিনিয়োগের জন্য সমঝোতা করেছে কোম্পানিটি।

এ ছাড়া রাবার মেশিনারি খাতে বিনিয়োগের জন্য নিটল নিলয় গ্রুপ সমঝোতা স্মারক সই করেছে দালিয়াম হুয়াহান রাবার অ্যান্ড প্লাস্টিক মেশিনারি লিমিটেডের সঙ্গে। আর লিথিয়াম ব্যাটারি ও ইলেকট্রিক যানবাহনের জন্য তারা সমঝোতা স্মারক সই করেছে জেডপি টেকনোলজিস (আনহুই) কো. লিমিটেড, চায়নার সঙ্গে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর সামনে রেখে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস যৌথভাবে এই ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন করেছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পাসহ সামিটের আয়োজক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এএসএম/

 

সূত্রঃ শেয়ার নিউজ

dividend

ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা

ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত ব্যাংক খাতের দুই কোম্পানির ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও বোনাস ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- পূবালী ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক ২টি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষণাকৃত ক্যাশ ও বোনাস ডিভিডেন্ড বিইএফটিএন সিস্টেমস ও বিও হিসাবে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত ব্যাংক খাতের দুই কোম্পানির ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও বোনাস ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- পূবালী ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক ২টি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষণাকৃত ক্যাশ ও বোনাস ডিভিডেন্ড বিইএফটিএন সিস্টেমস ও বিও হিসাবে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।

পূবালী ব্যাংক

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষণাকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও বোনাস শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পাঠিয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ ক্যাশ আর সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষণাকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পাঠিয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।

তারিক/

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষণাকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ও বোনাস শেয়ার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পাঠিয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ ক্যাশ আর সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষণাকৃত ক্যাশ ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পাঠিয়েছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।

তারিক

 

সূত্রঃ শেয়ারনিউজ

share-price

চাঙ্গা প্রবণতায় ‘এ’ ক্যাটাগরির ছয় শেয়ার

চাঙ্গা প্রবণতায় ‘এ’ ক্যাটাগরির ছয় শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদায়ী সপ্তাহের শেষদিন দেশের শেয়ারবাজারে রেকর্ড উত্থান দেখা গেছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে প্রায় ১২৪ পয়েন্ট। উত্থানের বাজারে ‘এ’ ক্যাটাগরির ছয় প্রতিষ্ঠানে বড় চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- আফতাব অটোমোবাইলস, জেমিনি সী ফুড, সাইফ পাওয়ার, হাইডেলবার্গ সিমেন্টনাভানা সিএনজি ও এডিএন টেলিকম লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দাম বেড়েছে আফতাব অটোমোবাইলসের। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২১.৩৬ শতাংশ।

সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেমিনি সী ফুডের দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ, সাইফ পাওয়ারের ১৬.০৪ শতাংশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ১৫.৭৫ শতাংশ, নাভানা সিএনজির ১৫.৪৫ শতাংশ এবং এডিএন টেলিকমের ১৫.৪৩ শতাংশ।

 

সূত্রঃ শেয়ার নিউজ

government-1

অবশেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অনুমতি মিলছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

অবশেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অনুমতি মিলছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যবসায় বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে কোনো আইনি বাধা নেই। চাকরি বিধিতে এই ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই।

তবে শেয়ারবাজার সম্পর্কিত একটি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করার জন্য বলা হয়েছিল। পাশাপাশি আয়কর রিটার্নেও সেটি উল্লেখের কথা বলা হয়।

সরকার শেয়ারবাজারে সরকারি কর্মচারীদের বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইনগতভাবে বিনিয়োগের অনুমতি দিতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর আইনটি সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয় সংশোধনীটি যাচাই-বাছাইয়ের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছে। এরফলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত যেকোনো কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ার বা বন্ড কিনতে বা বিক্রি করতে পারবেন।

জানা গেছে, গত ছয় বছর যাবত সরকার বিদ্যমান সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ সংশোধনের চেষ্টা করছে, তবে এখন প্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

শেয়ারবাজারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ করার উদ্যোগ এমন এক সময়ে নেওয়া হচ্ছে যখন কিছু সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অনুমতি না থাকলেও অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন।

এই বিষয়ে শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিনা বাধায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এতে আইনে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এটা নিয়ে যদি কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে সেটা কঠোরভাবে প্রতিহত করা উচিত।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা সঙ্গত কারণেই। কারণ তা না হলে তারা তাদের সঞ্চয় কোথায় নেবেন? সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যদি বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে সরকারের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বাধা কোথায়?

এই বিষয়ে এক সরকারি কর্মকর্তা শেয়ারনিউজকে বলেন, আইনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে ‘ফটকা’ বাজারে বিনিয়োগক করা যাবে না বলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-তে বলা হয়েছে। এই ধারায় যাদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নেই, তারা অন্যদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

আর যাদের বিনিয়োগ আছে, তাদের বক্তব্য যদি ব্যাংকের এফডিআর কিংবা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা যায়, তাহলে ডিভিডেন্ড পাওয়ার নিমিত্তে শেয়ারবাজারে কেন বিনিয়োগ করা যাবে না? শেয়ারবাজারকে তারা ‘ফটকা’ বাজার বলতে নারাজ।

তবে দেরিতে হলেও সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার উদ্যোগ নিয়েছেন, এটা অবশ্যই শুভ উদ্যোগ। শেয়ারবাজারের জন্য এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য।

মামুন/

সূত্রঃ শেয়ার নিউজ

Techno-Drug

টেকনো ড্রাগসের আইপিওর শেয়ার বরাদ্দ

টেকনো ড্রাগসের আইপিওর শেয়ার বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় থাকা ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) কোম্পানিটির আইপিওর শেয়ারের এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কোম্পানিটির আইপিওতে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ায় আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, দেশে বসবাসকারী যেসব বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির আইপিও শেয়ারের জন্য ১০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন, তারা পেয়েছেন ১১টি করে শেয়ার। ১০ লাখ টাকার আবেদন করেছেন, তারা পেয়েছেন ১ হাজার ১৬৬টি করে শেয়ার।

অন্যদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশি আবেদনকারীরা প্রতি ১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে পেয়েছেন ২০টি করে শেয়ার। ১০ লাখ টাকার আবেদনকারীরা পেয়েছেন ২ হাজার ১৬টি করে শেয়ার।

শেয়ারবাজারে আইপিওর ক্ষেত্রে এখন আর লটারি প্রথা নেই। ফলে যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে, তার আনুপাতিক ভিত্তিতে আইপিওর শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী টেকনো ড্রাগসের আইপিও বরাদ্দ দেওয়া হয়।

টেকনো ড্রাগস আইপিওর মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলণ করবে। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪১২ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩১০ টাকার আবেদন জমা পড়েছে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬১ কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ টাকার আবেদন জমা পড়েছে।

এর আগে, ৯ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত টেকনো ড্রাগসে আইপিও আবেদন জমা পড়ে। প্রতিষ্ঠানটি কাট-অব প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা। কাট-অব প্রাইসের ৩০ শতাংশ কম দামে অর্থাৎ ২৪ টাকা করে আবেদনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ার কিনতে পারবেন।

কোম্পানিটি জানায়, আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে কোম্পানিটি নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিএমআরই (নরসিংদী কারখানা), ভবন নির্মাণ (গাজীপুর কারখানা), আংশিক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়নসহ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা এবং পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২২ টাকা ৫৭ পয়সা।

আলোচ্য অর্থববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে যা ৩ টাকা ২৫ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

তারিক/

 

সূত্রঃ শেয়ারনিউজ

Saif-powerteck

দেশের তিন বন্দরের কাজ করবে সাইফ পাওয়ারটেক

দেশের তিন বন্দরের কাজ করবে সাইফ পাওয়ারটেক

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড দেশের তিন বন্দর- চট্টগ্রাম, মংলা ও পানগাঁ কন্টেইনার ডিপো এবং লজিস্টিক সুবিধার উন্নয়নে কাজ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এডি পোর্টস গ্রুপের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

সাইফ পাওয়ারটেক প্রথম বাংলাদেশি কোম্পানি যেটি বিদেশে শিপিং ও লজিস্টিকস খাতের কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

আজ বুধবার ( ২৬ জুন, ২০২৪) আবুধাবীতে কোম্পানি দু’টির শীর্ষ কর্তারা স্বারকটিতে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকের শর্তাবলীর অধীনে, উভয় পক্ষ যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম, মংলা ও পানগাঁ বন্দরে কন্টেইনার ডিপো এবং লজিস্টিক সুবিধাগুলির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে।

এমওইউতে স্বাক্ষর করেন এডি পোর্টস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জুমা আল শামিসি এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোঃ রুহুল আমিন।

এক বিবৃতিতে সাইফ পাওয়ারটেক জানিয়েছে, এই সমঝোতা স্বারকের অধীনে উভয় পক্ষই দক্ষতা, অধ্যয়ন, কৌশল, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং যৌথ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করবে।

অনুষ্ঠানে এডি পোর্টসের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জুমা আল শামিসি বলেন: “এই সহযোগিতা বিশ্বব্যাপী নতুন বাণিজ্যের সুযোগ উন্মোচনে আমাদের চলমান প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের সাথে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্বমানের সেবা এবং অভিজ্ঞতা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের উপস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলবে, কারণ আমরা আমাদের বিজ্ঞ নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বছরের পর বছর ধরে তৈরি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকাশ অব্যাহত রেখেছি।“

সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোঃ রুহুল আমিন বলেন: “আজ আমাদের জন্য আরেকটি গর্বের দিন কারণ আমরা এডি পোর্টস গ্রুপের সাথে আমাদের চলমান অংশীদারিত্ব অব্যাহত রেখেছি, যা আমাদের বাংলাদেশে বড় প্রকল্পসমূহে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই সমঝোতা স্মারকটি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এবং এডি পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সম্পর্কের শক্তির আরেকটি সূচক এবং আমরা আগামী দিনগুলোতে একসঙ্গে আরও কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।“

তিনি বলেন, “এডি পোর্টস গ্রুপের শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই বাংলাদেশ এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলিতে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের সাথে যুথবদ্ধ হওয়া আমাদের জন্য খুবই অর্থবহ।”

এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে, সাইফ পাওয়ারটেক প্রথম বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে বিদেশে শিপিং ও লজিস্টিক সেক্টরে ব্যবসা শুরু করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাফিন ফিডার কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

প্রসঙ্গত, সাইফ পাওয়ারটেক দেশের একমাত্র টার্মিনাল অপারেটর যা চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় ৫৮ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। কোম্পানিটি মংলা ও পানগাঁও বন্দরেও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়েল কাজ করছে।

মিজান/

 

সূত্রঃ শেয়ার নিউজ

Okkaparishad

শেয়ারবাজার উন্নয়নে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ৭ প্রস্তাব

শেয়ারবাজার উন্নয়নে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ৭ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়াতে সাত দফা প্রস্তাব জানিয়েছে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকালে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবর এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, বর্তমানে শেয়ারবাজারের অবস্থা খুবই নাজুক। গত ৬ জুন অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন। দেশের অগ্রযাত্রা, প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়নে এই বাজেট অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজার উন্নয়নে বেশকিছু প্রস্তাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানায় এবং চূড়ান্ত বাজেটে নিম্নলিখিত দাবিগুলো সংযোজন করার জোর দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো-

০১. ক্যাপিটাল গেইনের উপর কর প্রত্যাহার

শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার উপর ক্যাপিটাল গেইনের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার দাবি। এতে বড় বড় বিনিয়োগকারীরা আরও বেশী বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়বে।

০২. ডিভিডেন্ডের উপর ট্যাক্স প্রত্যাহার

ডিভিডেন্ডের উপর থেকে ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। কোম্পানিগুলো ডিভিডেন্ড ঘোষণার পূর্বে সরকারকে অগ্রীম যে ট্যাক্স প্রদান করে থাকে। সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসাবে গণ্য করতে হবে। তাহলে ভালো ডিভিডেন্ড পাওয়ার আশায় বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়বে এবং অস্থিরতা কমবে।

০৩. কর হারের ব্যবধান

শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানি ও অতালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যকার করহারের ব্যবধান মাত্র ৫ শতাংশ। চূড়ান্ত বাজেটে এই হারের ব্যবধান ১০ শতাংশ করতে হবে। এতে ভালোমানের কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত হবে।

০৪. কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো

তালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট ট্যাক্স ১৫ শতাংশ করতে হবে। এর ফলে বহু ভালোমানের স্বনামধন্য কোম্পানি, বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি ও সরকারি লাভজনক প্রতিষ্ঠান তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত হবে।

০৫. অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ

অপ্রদর্শিত অর্থ সহজ শর্তে শুধু শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। শেয়ারবাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে এবং সরকারও প্রচুর রাজস্ব পাবে।

০৬. উপযুক্ত ডিভিডেন্ড প্রদান

শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত অনেক কোম্পানি ভালো মুনাফা অর্জন করা স্বত্ত্বেও উপযুক্ত ডিভিডেন্ড প্রদানে গড়িমসি করে। কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ডিভিডেন্ড হিসাবে প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। উপযুক্ত ডিভিডেন্ড পাওয়ার প্রত্যাশায় শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে এবং শেয়ারবাজারও স্থিতিশীল হবে।

০৭. অর্থের যোগান

বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে। এতে শেয়ারবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে এবং শেয়ারবাজারের এই দুঃসময়ে প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দিতে সক্ষম হবে।

চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে মহাধসের কবলে পড়ে বহু বিনিয়োগকারী চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ৩৭ জন বিনিয়োগকারী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন। শেয়ারবাজারের পতনের দায় তখন সরকারের উপর পড়েছিল। এরপর থেকে আর শেয়ারবাজার পূর্ণাঙ্গ স্থায়ী স্থিতিশীলতা পায়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে বর্তমানে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও শেয়ারবাজারের মন্দাভাবের কারনে তা বারবার ম্লান হচ্ছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারবাজার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু কোনভাবেই শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা পায়নি। শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল ও সম্ভাবনাময় করতে হলে আলোচ্য প্রস্তাব প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করা জরুরী বলে মনে করে বাংলাদেশ শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

মামুন

 

সূত্রঃ শেয়ার নিউজ