Dividendd

এপেক্স ট্যানারির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

এপেক্স ট্যানারির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ট্যানারি ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শুধুমাত্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮ টাকা ৩১ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৮ টাকা ১৭ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ১ টাকা ৮৭ পয়সা। আগের অর্থবছেরে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫ টাকা ৩৮ পয়সা।

গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৪৫ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এনএভিপিএস ছিল ৫৪ টাকা ৮৫ পয়সা।

কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৬ ডিসেম্বর, বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ নভেম্বর।

এস/

Source: sharenews24.com
Bankk

তারল্য সঙ্কট কাটছে শেয়ারবাজারের চার ব্যাংকের

তারল্য সঙ্কট কাটছে শেয়ারবাজারের চার ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চার ব্যাংকের তারল্য সঙ্কট কাটতে শুরু করেছে। এরফলে ব্যাংকগুলোতে ফিরতে শুরু করেছে গ্রাহকদের আস্থা। ব্যাংক চারটির কর্মকর্তারা আশা করছেন, খুব শিগগিরই ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসবে।

ব্যাংকগুলো হলো-স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক-এসআইবিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের মাধ্যমে সহায়তা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ নীতির আওতায় গত বুধবার ব্যাংক চারটি অন্য পাঁচটি সবল ব্যাংকের কাছ থেকে ৯৪৫ কোটি টাকা পেয়েছে।

ব্যাংক চারটির মধ্যে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ২৭০ কোটি টাকা এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা।

ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়েছে দ্য সিটি ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা এবং মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে দ্য সিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংককে দ্য সিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা ও বেঙ্গল কমার্সিয়াল ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা। আর গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক।

স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের হেড অফ ইনভেস্টমেন্ট নাজমুস সাকিব এ বিষয়ে বলেন, দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের আর্থিক সহায়তা একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে, যা গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, গত কিছুদিন গ্রাহকরা গচ্ছিত অর্থ ও এফডিআর তুলতে ভীড় করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের সংবাদে গত কয়েকদিন থেকে গ্রাহকদের ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ নিয়ে চিন্তা অনেকটা দূর হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ সবল ব্যাংক থেকে ধার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ব্যাকগুলো হলো- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। চুক্তিপত্রের বিপরীতে এসব ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদে সবল ব্যাংক থেকে বিশেষ ধার পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি থাকার কারণে অন্তত ১৪টি সবল ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা, ব্র্যাক, সিটি ব্যাংক, মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও বেঙ্গল কমার্সিয়াল ব্যাংক অন্যতম।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংঘঠন এফবিসিসিআই’ সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিকতা ফিরবে। ব্যাংকখাতে যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছিল গ্রাহকের তা আবার ফিরে আসবে।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর আবু আহমেদ বলেন, এস আলমসহ কিছু লুটেরা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে গেছে। এ কারণে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে পারছেনা। এতে এখাতে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য সঙ্কট নিরসনে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত বর্তমান সঙ্কট কাটাতে অনেকটা সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। একই সঙ্গে আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে ব্যাংকসহ আর্থিকখাত স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এএসএম/

 

Source: sharenews24.com

Gas

গ্যাস উত্তোলন নিয়ে সুখবর দিল বাপেক্স

গ্যাস উত্তোলন নিয়ে সুখবর দিল বাপেক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: পেট্রোবাংলার সহযোগি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ভোলা জেলায় আরও ৫ ট্রিলিয়ন গ্যাসের মজুত নিশ্চিত করার পাশাপাশি তা উত্তোলন করতে নতুন করে ১৯টি কূপ খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, এ জেলায় ৫.১৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের বেশি মজুত রয়েছে। সম্প্রতি অবসরে যাওয়া বাপেক্স ডিজিএম ও গবেষক মো. আলমগীর হোসেন শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র এলাকায় ৬টি ও জেলা সদরের ইলিশা ক্ষেত্র এলাকায় ৩টি কূপ খনন করে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন গ্যাসের মজুত নিশ্চিত করা হয়।

নতুন ১৯টি কূপের মধ্যে ৫টি জেলা সদরকেন্দ্রিক ও ১৪টি বোরহানউদ্দিন ও চরফ্যাশন এলাকায়। বাপেক্স ও রাশিয়ার জ্বালানি কোম্পানি ‘গ্যাজপ্রম’ যৌথ থ্রি-ডি, টু-ডি অনুসন্ধান শেষে এই কূপ খননের স্থান শনাক্ত করে।

নতুন কূপের শনাক্ত এলাকা হচ্ছে-জেলা সদরের জাঙ্গালিয়া বাজারসংলগ্ন ভোলা নর্থ-৩, গুপ্তমুন্সি গ্রামে ভোলা নর্থ-৪, রতনপুর ও চরপাতা সীমানায় ভোলা-৫, উদয়পুর বাজারসংলগ্ন শাহবাজপুর ৫ ও ৭, বাংলাবাজারসংলগ্ন ভোলা ওয়েস্ট-১, ভোলা নর্থ-৫, শাহবাজপুর-৯, শাহবাজপুর দক্ষিণ-১, শাহবাজপুর উত্তর পূর্ব-২, শাহবাজপুর নর্থ-১, শাহবাজপুর নর্থ ওয়েস্ট-১, শাহবাজপুর-৬, শাহবাজপুর-৮, শাহবাজপুর-১০, শাহবাজপুর-১১, শাহবাজপুর-১২, শাহবাজপুর-১৩, চরফ্যাশনের আলিমাবাদ-১।

বাপেক্স কর্মকর্তারা জানান, ইতিপূর্বে জরিপের পর যে কয়টি কূপ খনন হয়েছে, প্রতিটিতেই মজুত নিশ্চিত হয়েছে। ১৯টি কূপ খনন করা গেলে দেশের বৃহত্তর মজুত নিশ্চিত হবে। ইতোমধ্যে জেলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাসফিল্ড থেকে শুরু করে জেলা সদরের ইলিশা, ভেদুরিয়া এলাকায় ৩টি আলাদা ক্ষেত্রে ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে।

তারা জানান, পুরো জেলাকে দুটি অংশে ভাগ করে ২০২০ সাল থেকে নতুন মজুতের সন্ধানে অনুসন্ধান চালায় বাপেক্স ও গ্যাজপ্রম। ইতিপূর্বেও ৫টি কূপ খনন করে এই রাশিয়ান কোম্পানির কারিগরি টিম।

বাপেক্সের জরিপে দেখা যায়, শাহবাজপুর ও ইলিশা ফিল্ডজুড়ে গ্যাসের মজুত রয়েছে ২ দশমিক ৪২৩ টিসিএফ। অপরদিকে জেলার দক্ষিণাঞ্চলে রয়েছে ২ দশমিক ৬৮৬ টিসিএফ গ্যাস (রিসোর্স গ্যাস)। বাজারমূল্যে এই গ্যাসের সম্ভাব্য দাম হতে পারে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকা।

গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এক বৈঠকে দেশে ১০০টি কূপ খনন করার কথা জানান। এর মধ্যে ভোলায় রয়েছে ১৯টি।

বাপেক্স সূত্র জানায়, ভোলার গ্যাসকূপ খননের বিষয়ে গ্যাজপ্রমের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। অপরদিকে জ্বালানি উপদেষ্টার বক্তব্যে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫টি কূপ খনন করা হবে, এর মধ্যে ১১টি করবে বাপেক্স। অপর ২৪টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নতুন কোম্পানিকে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণের মধ্য দিয়ে গ্যাসলাইন বরিশাল হয়ে খুলনায় নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানায় বাপেক্স। এছাড়া এলএনজি করে সিলিন্ডারে গ্যাস আনা হচ্ছে ভোলা থেকে ঢাকায়।

বাপেক্স জানায়, ভোলায় শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয় ১৯৯৫ সালে। জেলা সদরে আবাসিক গ্যাস সংযোগের মধ্য দিয়ে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় ২০১৩ সালে। ২০০৯ সালে প্রথম রেন্টাল ৩৪.৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টে বাণিজ্যিক সংযোগ দেওয়া হয়। বর্তমানে বোরহানউদ্দিনে ৩টি বিদ্যুৎ প্লান্টসহ ৯টি বাণিজ্যিক সংযোগে প্রতিদিন গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে মাত্র ৭০ এমএমসিএফ গ্যাস। অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে প্রতিদিন ১০০ এমএমসিএফ গ্যাস।

ভোলার প্রতিটি কূপেই গ্যাসের মজুত নিশ্চিত হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি কূপ থেকে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ এমএমসিএসসিএফডি গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে বাপেক্স প্রকৌশলীরা নিশ্চিত করেন।

ভোলায় গ্যাসের মজুত ভান্ডার রয়েছে। তবে এলাকায় বাণিজ্যিক ও আবাসিক গ্যাস ব্যবহারে নতুন গ্যাস সংযোগ প্রদানের অনুমতি বন্ধ থাকায় ক্ষোভ জানায় নাগরিক সমাজ। এ জেলায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট এবং সার কারখানা করার দাবি জানান তারা।

মিজান/

 

Source: sharenews24.com

Banglades-submarin

সাবমেরিন ক্যাবলসের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

সাবমেরিন ক্যাবলসের ডিভিডেন্ড ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ২ পয়সা (ডাইলুটেড)। আগের বছর ইপিএস হয়েছিল ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা।

আলোচ্য বছরশেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ১৭ টাকা ৬৩ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা।

৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৩ টাকা ৬ পয়সায়।

আগামী ২৭ নভেম্বর, বুধবার সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ নভেম্বর।

মিজান/

 

Source: Sharenews24.com

dhaka_stock_exchange_limited

Dhaka bourse calls board meeting today

The board to elect a new chairman

The Dhaka Stock Exchange (DSE) has scheduled a board meeting tomorrow, in which the newly appointed seven independent directors will take part, according to DSE officials.

The last board meeting was held on 1 August, but subsequent meetings were delayed due to disruptions surrounding the appointment of new independent directors, following the resignation of the previous ones after the change in government, according to officials.

Shakil Rizvi, a shareholder director of the DSE, told The Business Standard that the country’s premier bourse operated without a functioning board for over a month, preventing the DSE from making any policy decisions.

“Now, we have seven independent directors with a clean slate. Therefore, the DSE has scheduled a board meeting for 3pm on Thursday, during which the board will elect a new chairman,” he added.

Under the demutualisation scheme, the DSE operates with a 13-member board, consisting of seven independent directors and six other members. The latter group includes four shareholder representatives, one representative from the strategic partner, and the managing director.

Earlier, in August, after the fall of the Sheikh Hasina-led government, all seven independent directors of the DSE resigned following the verbal order from the securities regulator.

On 1 September, the Bangladesh Securities and Exchange Commission (BSEC) appointed Brigadier General Md Mafizul Islam Rashed, former DSE MD KAM Majedur Rahman, Professor Major General (retd) Mohammad Quamruzzaman, Financial Institutions Division Additional Secretary Nahid Hossain, DU professor of economics Mohammed Helal Uddin, former general manager of Metlife Bangladesh Syed Hammadul Karim, and Bangladesh Data Center and Disaster Recovery Site Limited CEO Mohammed Ishaque Miah.

However, DSE members have raised concerns about the appointments of Majedur Rahman and Helal Uddin, arguing that these appointments violate the board and administration regulations as they were involved in brokerage firms.

Then the BSEC changed them and appointed AF Nesaruddin and Syeda Zakerin Bakht Nasir, but it also violated the regulations.

After that, the BSEC appointed IPDC Finance’s Ex-MD Mominul Islam and FINS Alliance’s CEO and Chief Consultant Shahnaz Sultana.

A senior official at the DSE said one of the BSEC-appointed independent directors, Mominul Islam, was found to have negative CIB (Credit Information Bureau) clearance from the Bangladesh Bank.

Mominul said there was a misunderstanding regarding him being listed as a loan defaulter by the central bank.

“The central bank actually didn’t identify me as a defaulter, rather it is a company linked to me that has been identified as the defaulter,” he explained.

Mominul mentioned that the company is Confidence Salt Limited. “I was on the company’s board as the managing director of IPDC Finance, representing the Investment Corporation of Bangladesh (ICB), since Confidence Salt had received funding from the Equity and Entrepreneurship Fund (EEF) managed by ICB.”

Mominul further said he has completed his tenure at IPDC Finance and has not been the managing director since January this year.

I have since sent a letter to the central bank on 30 September, requesting an update on my status in the CIB report,” he added.

Shakil Rizvi stated that the central bank had sent the CIB report without updated information about him. Later, the Bangladesh Bank revised the report which mentioned that Mominul Islam has no connection to any defaulting companies.

Source: The Business Standard

p3_pran-expands-global-footprints_0

PRAN expands into major brand abroad with local sourcing

PRAN’s logo also appears on a wide range of products, including sauces, flattened rice, spices, noodles, chocolate, biscuits, frozen fish, oil, honey, coconut water, and bottled water

At Carrefour Dubai, the largest hypermarket in the UAE – one of the wealthiest countries in the Middle East – it was observed that “PRAN” was prominently written in Bangla on a juice packet.

PRAN’s logo also appears on a wide range of products, including sauces, flattened rice, spices, noodles, chocolate, biscuits, frozen fish, oil, honey, coconut water, and bottled water.

Ashish Kumar, a sales staff member at the superstore, told The Business Standard that a large portion of the food products sold at Carrefour comes from PRAN Group of Bangladesh.

“We have about 150 PRAN products in our stores. These items are available in over 80 Carrefour stores across the United Arab Emirates. Along with Bangladeshis, expatriates from India, Sri Lanka, and Pakistan also purchase these products,” he added.

He also mentioned that many local buyers are now purchasing these products as well.

Mizanur Rahman, executive director (Export) at PRAN-RFL Group, told TBS, “PRAN has received an overwhelming response by catering to the tastes of local consumers. This is why we’ve expanded beyond products exported solely from Bangladesh. Based on consumer demand, we source products from local and subcontinental countries, package them, and market them accordingly. As a result, PRAN is recognised as a subcontinental brand outside of Bangladesh.”

Citing an example, he said, “Pakistani flour is very popular and easily available in Dubai, so we source it from Pakistan. Since the export of rice from Bangladesh is prohibited, we procure it from another country. We also source frozen fish from Arab nations and neighbouring countries.”

PRAN’s products are available in major chain stores such as Carrefour, Nesto, Lulu, and Daily Mall, as well as in a large number of general stores across Dubai. In Ajman, PRAN operates a massive 94 lakh square-foot warehouse with rows of vehicles. According to PRAN officials, their products are stored here after contract manufacturing at Imaging World’s local factory. They also maintain a warehouse in Dubai.

Officials at PRAN-RFL Group in Bangladesh say PRAN products are available in nearly all major stores across the UAE, including in Dubai, Abu Dhabi, and Sharjah. Over the past year, PRAN has sold approximately $265 million (equivalent to around Tk3,000 crore) worth of products in the oil-rich.

PRAN has established a strong presence in the UAE in less than two decades, having begun exporting to the region in 2007. Initially focused on Dubai, the company now operates around 400 covered vans, supplying products across the entire UAE. More than 1,000 workers are involved in the import and distribution of products in the country. Additionally, PRAN has several large-scale packaging and warehouse facilities, spanning millions of square feet in both Dubai and Ajman.

In addition to exporting from Bangladesh, PRAN sources and packages products from neighbouring regions, including the UAE, and sells them under its brand name.

Kamruzzaman Kamal, director (Marketing) at PRAN-RFL, told TBS, “PRAN has a presence in more than 145 countries, including the UAE. Initially, our business was entirely export-dependent, but that has changed. Now, we supply products to local consumers through manufacturing and packaging within their respective countries.”

“Currently, we engage in contract manufacturing in countries such as India, Malaysia, Thailand, Vietnam, and Indonesia. We have transformed PRAN into a local brand by involving the people of these countries in production and marketing,” he added.

Five factories in India

In cities like Kolkata, Guwahati, Shillong, and Agartala in India, PRAN Group’s products from Bangladesh – including chanachur, chocolates, drinks, chips, and biscuits – are widely available in almost all retail stores. PRAN products are also found in various other states, including Delhi, Punjab, Gujarat, and Bihar, where Indians are involved in production and marketing.

According to PRAN officials, their products are currently available in 28 states across India, with annual sales of around $60 million (equivalent to Tk700-750 crore). Most of these products are now sourced, packaged, and manufactured locally in India.

PRAN initially began exporting products from its Bangladeshi factories to India in 1997, but today, local sourcing has become the core of its business strategy in the country.

Kamruzzaman Kamal said, “Our strategy is to engage the local population in each country or region by integrating them into our team. This helps transform our products into their own. In India, our local team creates commercials in Indian and Nepali languages, airing them on TV, which has made our products regional brands. Gradually, we’ve started producing products using locally sourced ingredients, involving locals through contract farming.”

In an interview with TBS, PRAN-RFL Group Chairman Ahsan Khan shared, “We emphasise local sourcing for sustainable business. Our goal is to establish factories where wheat and rice production is abundant.”

He explained, “At present, we have five factories in India, with strong positions in Northeast India, Kolkata, and Siliguri, and we’re also manufacturing in Bangalore. Our vision is to establish a PRAN presence in every state of India.”

Additionally, Ahsan Khan mentioned that PRAN has contractual manufacturing arrangements in Nepal and plans to set up a factory in Saudi Arabia later this year. The company is also considering establishing a juice factory in Nigeria.

Local manufacturing to avoid non-tariff barriers

In some countries, non-tariff barriers are imposed to promote domestic trade, and restrictions on marketing foreign products often hamper business expansion. To overcome these challenges, PRAN began establishing partnerships with local companies in various countries.

Kamruzzaman Kamal explained, “We initiated efforts to involve locals in business expansion in 2010, targeting Asian markets such as India, Pakistan, Nepal, Bhutan, Sri Lanka, and the Philippines. PRAN first collaborated with trading partners in these countries, ensuring smoother trade and greater acceptance of our products in local markets.”

He added, “We then began contract manufacturing with local companies, producing PRAN-branded products in their factories. This not only helped eliminate non-tariff barriers but also significantly boosted business growth.”

What started as a contract manufacturing initiative in India has now expanded to at least 10 countries.

PRAN-RFL is a leading company in Bangladesh’s processed food industry and consistently holds the top position in export of these products.

PRAN first entered the export market in 1997, shipping goods to France, where the initial target consumers were primarily expatriate Bangladeshis.

Today, PRAN exports to 147 countries worldwide. In the fiscal 2023-24, the company exported products worth approximately $377 million.

Source: The Business Standard

1678903350-df1c67ab5e9007cc191af01d0db5d1d4

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের অর্থের নিরাপত্তায় কঠোর হচ্ছে বিএসইসি

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের অর্থের নিরাপত্তায় কঠোর হচ্ছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের অর্থের নিরাপত্তায় ইতিবাচক উদ্যোগ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে শেয়ারবাজারের ট্রেকহোল্ডারদের বা ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে প্রতিদিন সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতিমাসে তাদেরকে একবার এই হিসেব জমা দিতে হয়।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কাছে এই বিষয়ে মতমত জানতে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। একই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) মতামত জানাতে নির্দেশনা দিয়েছে।

বিএসইসির মার্কেট অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিস অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনে(এমআইএডি) সহকারি পরিচালক আব্দুল বাতেন ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

বিএসইসি ও ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নতুন পুরাতন মিলে ট্রেকহোল্ডার রয়েছে ৩০৯টি। এরমধ্যে অনেক ট্রেকহোল্ডার বিভিন্ন সময়ে সিসিবিএ একাউন্টে অনেক অনিয়ম করেছে। অ্যাকাউন্টগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বড় ধরণের অনিয়ম হয়েছে এবং গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ট্রেকহোল্ডার ইতোমধ্যে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ হাইজগুলো তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

ডিএসই জানিয়েছে, ২০২০ সালের ৯ জুলাই ১২টি, ১৬ জুলাই ২টি, ২৫ আগস্ট ২টি এবং ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৮টি ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শন করেছে ডিএসইসি। এগুলোতে গ্রাহকদের ১০৭ কোটি টাকা জমা থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে ৪৯ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা গেছে ৫৮ কোটি টাকার।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইর ট্রেকহোল্ডারদের মধ্যে অ্যাপেক্স ইনভেস্টমেন্ট ২৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা, সিনহা সিকিউরিটিজ ৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা, আল মুনতাহা ট্রেডিং কোম্পানি ৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, এক্সপো ট্রেডার্স ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, জয়তুন সিকিউরিটিজ ২ কোটি ৭০ লাখ, মিরর ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, এরিনা সিকিউরিটিজ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা, এম সিকিউরিটিজ ২ কোটি ৯ লাখ টাকা, সাদ সিকিউরিটিজ ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট গ্রাহকের ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা সরিয়েছে। এরপর ডিএসইর মনিটরিং বাড়ানোর ফলে সেই টাকা অনেক প্রতিষ্ঠানই সিসিএ হিসেবে জমা করেছে।

এ ছাড়া, বিএসইসির এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহকের সিসিএ থেকে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ ১০৫ কোটি টাকা সরিয়েছে। সম্প্রতি মশিউর সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা গ্রাহকদের টাকা আত্মসাত করে তালা দিয়ে পালিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এসব অনিয়ম ও জালিয়াতির কারণে গ্রাহকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দিতে অবশেষে বিএসইসি নড়েচড়ে বসেছে। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হাঁটছে। এ পদক্ষেপ ট্রেকহোল্ডারদের উপর বাড়তি চাপ পড়বে। কিন্তু তারপরও গ্রাহকদের স্বার্থে এবং শেয়ারবাজারের স্বচ্চতার স্বার্থে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন জরুরী বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এএসমিয়াজী/

 

Source: Sharenews24.com

Bankk

শেয়ারবাজারের বেসরকারি পাঁচ ব্যাংক পাচ্ছে বিশেষ তারল্য সহায়তা

শেয়ারবাজারের বেসরকারি পাঁচ ব্যাংক পাচ্ছে বিশেষ তারল্য সহায়তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক সংকটে পড়া পাঁচ বেসরকারি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে আমানত বা প্লেসমেন্ট হিসেবে দুর্বল ব্যাংকে অর্থ জমা রাখবে ভালো ব্যাংকগুলো। এতে দুর্বল ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট নিরসনের সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংকগুলো হলো– সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এতদিন এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ব্যাংকগুলো বিশেষ ধার চেয়ে ইতোমধ্যে আট ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। তারল্য উদ্বৃত্ত থাকা ওই আট ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার দিতে সম্মতও হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়। এগুলোসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা।

এমন অবস্থায় সাময়িক সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর দুর্বল ব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিমান্ড প্রমিসরি (ডিপি) নোট নিয়ে রাখবে, যাতে ধার দেওয়া ব্যাংকগুলো কোন বেকায়দায় না পড়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কোনো ব্যাংক সংকটে পড়লে সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ ধার দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ধার দেওয়া মানে সরাসরি টাকা ছাপানোর মতো। এতে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়ে। এমনিতেই এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে।

এমন অবস্থায় বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির মানে হলো, কোনো কারণে এসব ব্যাংক ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা পরিশোধ করবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যে ১১ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে, এগুলোসহ কয়েকটি থেকে টাকা তোলার ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। আতঙ্কে আমানতকারীদের অনেকে টাকা নিয়ে ভালো ব্যাংকে জমা করছেন। এই কারণে কিছু ব্যাংক চরম সংকটে পড়ছে। আবার কিছু ব্যাংকে প্রচুর উদ্বৃত্ত রয়েছে। মূলত উদ্বৃত্ত থাকা ব্যাংকই সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোকে টাকার ব্যবস্থা করবে।

 

Source: Sharenews24.com

Governor

গভর্নরের সাহসী পদক্ষেপে ব্যাংক খাতে নতুন দিশা

গভর্নরের সাহসী পদক্ষেপে ব্যাংক খাতে নতুন দিশা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্ণর বিধ্বস্ত ব্যাংক ও আর্থিক খাত ঢেলে সাজাতে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এতে এক মাসের মধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখা যাচ্ছে এখাতে।

গত এক মাসে নতুন গভর্ণর ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন, আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কঠোর নজরদারির মাধ্যমে বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচার রোধ, মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধিসহ আরো কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার ফল ইতোমধ্যেই দেখা যেতে শুরু করেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে গত কয়েক বছর ধরেই নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাত। গত দুই বছরে লুটপাট লাগামহীন হয়ে পড়ায় সংকট আরো গভীর হয়েছে। একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ, ঋণের নামে ব্যাংক লুটপাট আর বিদেশে অর্থপাচার, লাগামহীন খেলাপি ঋণ, ব্যাংকে তীব্র তারল্য সংকট, ডলার ও রিজার্ভ সংকটে ব্যাংক খাতের ক্ষত আরো গভীর হয়েছে।

খাত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল, সেটিও পালন করেননি ওই সময়ের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এতে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকের আস্থাহীনতা বেড়েছে।

ব্যাংক খাতে এমন সংকটময় মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেন অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর। গত ১৩ আগস্ট সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পরদিন ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব নেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি এক মাস পূর্ণ করেছেন। সময় কম হলেও এই সময়ে তিনি বেশ কিছু সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন।

ড. আহসান এইচ মনসুরের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ হচ্ছে, একক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ থেকে ব্যাংক খাতকে মুক্ত করেছেন। সব মিলিয়ে ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ব্যাংক খাতের সংস্কারে আরো একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে যেমন ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত হবে, সেই সঙ্গে বন্ধ হবে ব্যাংক লুটপাট ও অর্থপাচার।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আর্থিক খাত বিষয়ে অভিজ্ঞ ছয়জনকে সদস্য করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের সমন্বয়ক হিসেবে থাকবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংক খাত সংস্কারে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে এই টাস্কফোর্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আগে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিত সরকার। তবে এখন থেকে বিদেশে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী বা দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের ক্ষতিপূরণ বাবদ আসা রেমিট্যান্সের বিপরীতেও আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হবে। এতে বাড়তে শুরু করেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমে যাওয়া এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারির কারণে বাণিজ্যভিত্তিক অর্থপাচার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। দায়িত্ব্ব গ্রহণের পরপরই নতুন গভর্নর ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট চালু করায় ব্যাংকগুলো ডলার লেনদেনের জন্য সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। এটিও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে নেওয়া এসব উদ্যোগে রিজার্ভ স্থিতিশীল হচ্ছে।

ডলার সংকট তৈরি হওয়ায় ২০২২ সালে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একাধিক পণ্যের ওপর শতভাগ মার্জিন আরোপের পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার ফলে তা তুলে নিয়েছে সংস্থাটি।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১৪-১৫ বছরে ব্যাংকিং খাতে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এখাতে স্থিতিশীলতা আনতে হলে বড় রকমের সংস্কার দরকার। বর্তমান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের হাতেই এই সংস্কার সম্ভব বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

মিজান/

 

Source: sharenews24.com

rASHED-MAKSUD

শেয়ারবাজার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি

শেয়ারবাজার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এমন মন্তব্য করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারে বেশ কিছু সংস্কারের বিষয় রয়েছে। সেগুলোও কিভাবে আরও দ্রুত স্বম্পন্ন করা যায় তা নিয়েও গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি’।

গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে ০৯ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করেন হাসিনার আস্থাভাজন আবদুর রউফ তালুকদার।

এর পরের দিনই শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশে যখন সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ ছুঁই ছুঁই করছে, তখন ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩তম গভর্নরের দায়িত্ব পান বিশিষ্ট গবেষক আহসান এইচ মনসুর।

অন্যদিকে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান সাবেক ব্যাংকার ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বে থাকা খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

মামুন/

 

Source: Sharenews24.com