নিজস্ব প্রতিবেদক : শহর ও প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে সরকারের ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা। কাগজপত্র না থাকায় ব্যাংক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঋণ নিতে পারছেন না। এবার তারা কাগজপত্র ছাড়াই ঋণ নিতে পারবেন।
নতুন ডিজিটাল পদ্ধতিতে থাকবে না কোনো অফিস, শাখা ও আলাদা অবকাঠামো। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতোই ডিজিটাল ব্যাংকের প্রতিনিধি এলাকাভিত্তিক লেনদেনে নিযুক্ত থাকবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নিজস্ব তথ্য আপলোড করেই অ্যাকাউন্ট খোলা ও ঋণের আবেদন করতে পারবেন গ্রাহকরা। এরই মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ১০টি ব্যাংকসহ ৫২টি প্রতিষ্ঠান।
ডিজিটাল এই ব্যাংকিংয়ে আমানত গ্রহণ, ঋণ দেয়া সবই হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণে লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদ তৌফিকুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে এই বিষয়ে বলেছেন, ‘মানুষের যে আমানত আছে, সেটির একটি গ্যারান্টি কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিতে হবে। সেটি যদি তারা না দিতে পারে এবং একটি ব্যাংক যদি ব্যর্থ হয়, তখন কিন্তু লক্ষাধিক মানুষের আমানতের প্রশ্ন আসবে।’
নিরাপত্তার বিষয়টি আশ্বস্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতা বাড়বে আর্থিক কার্যক্রমে। যাচাই-বাছাইয়ের পরই অনুমোদন দেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেসবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের যে নির্ধারিত সুদের হার আছে, সেটার আওতায়ই তাদের আসতে হবে। আবার আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রেও বাজারে যে সুদের হার চলমান থাকবে সেটাই মানতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোও কিন্ত ব্যাংক। তারা আমানত নিতে পারবে আবার ঋণও দিতে পারবে। প্রান্তিক গোষ্ঠী আমাদের মূল গ্রাহক হওায় বড় কোনো ঋণের অনুমতি দেব না।’
সূত্রঃ শেয়ারনিউজ