প্রবাসী আয় ছয় মাস পর আবার ২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে

ডলার

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকের মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় আবারও ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বিদায়ী মার্চ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এর আগে গত বছরের জুলাই ও আগস্টে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল। এরপর আর ২০০ কোটি ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি রেমিট্যান্স।

প্রবাসী আয়সংক্রান্ত পরিসংখ্যান নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতেই এক মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় আসার কথা জানা যায়।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের সংকটের কারণে মার্চ মাসে বেশ কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের তুলনায় বেশি দামে প্রবাসী আয় দেশে নিয়ে আসে। এর প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয় আসার চিত্রে। ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দাম দিতে পারবে বলে নির্ধারণ করা আছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, মার্চ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। আর ফেব্রুয়ারির তুলনায় আয় বেশি এসেছে ২৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।

গত ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। এই আয় জানুয়ারির তুলনায় ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার বা প্রায় ২০ শতাংশ কম ছিল। জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯৬ কোটি ডলার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির চেয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বাড়ে ৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছিল ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মার্চ মাসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ৪৫ কোটি ৬১ লাখ ডলার, সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ১৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ২৩ লাখ ডলার। এরপরই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসে ১০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার ও অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

প্রবাসী আয় সংগ্রহের শীর্ষ তালিকায় যোগ হয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ও আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের নাম।

রেমিট্যান্স ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে উৎসাহিত করতে সরকার প্রণোদনার হার দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এখন আড়াই শতাংশ দিচ্ছে। এরপরও দেশে ডলার-সংকট শুরু হওয়ার পাশাপাশি প্রবাসী আয়ে গতি কম।

ব্যাংকাররা অবশ্য মনে করেন, সামনে বৈশাখ ও দুই ঈদের মতো উৎসব আছে। দেখা গেছে, উৎসবের সময় প্রবাসী আয় বেশি আসে। ফলে চলতি মাসেও ভালো অঙ্কের প্রবাসী আয় দেশে আসবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

সূত্রঃ প্রথম আলো

Shopping Basket